Crimer Sondhane

জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি ঘোষিত “জুলাই সনদ”-এর খসড়াকে একটি অসম্পূর্ণ প্রস্তাব হিসেবে মন্তব্য করেছে

তারা মনে করে এটি এখনো পরিপূর্ণ নয় এবং এতে রাজনৈতিক ঐক্যের ঘাটতি রয়েছে।

💬 প্রধান বক্তব্যগুলো:

  • “জুলাই সনদ” হলো একটি খসড়া রাজনৈতিক চুক্তি, যা বিভিন্ন দলের মধ্যে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে তৈরি।
  • জামায়াতে ইসলামী মনে করে, এই সনদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য নেই, এবং এটি সম্পূর্ণ চুক্তি হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।
  • তারা আরও আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে, যাতে সবার অংশগ্রহণ ও মতামত নিশ্চিত করা যায়।প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপট: এই আলোচনার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ঐক্য গঠনের প্রচেষ্টা। বিভিন্ন পক্ষ এখনও মতানৈক্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে সনদের সাতটি অঙ্গীকার নিয়ে।জুলাই সনদ”-এর সাতটি অঙ্গীকারের বিস্তারিত ব্যাখ্যা (বাংলা)

    “জুলাই সনদ” একটি রাজনৈতিক খসড়া প্রস্তাব, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের চেষ্টা করছে। এর সাতটি প্রধান অঙ্গীকার হলো:

    গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকারের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা।

    • নির্বাচনকালীন সরকার: বর্তমান সরকার নয়, বরং একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়।
    • সংবিধান ও সংস্থা সংস্কার: নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
    • আইনের শাসন ও মানবাধিকার: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং জনগণের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
    • সংবিধানিক ক্ষমতার ভারসাম্য: নির্বাহী, আইন প্রণয়নকারী ও বিচার বিভাগে ক্ষমতার সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা।
      1. অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার: দুর্নীতি রোধ, আয় বৈষম্য হ্রাস এবং সাধারণ মানুষের জীবনে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অর্থনীতি পুনর্গঠন।
      2. জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক শাসন: ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতা এবং জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসন পরিচালনার নিশ্চয়তা।

      💬 জামায়াতে ইসলামী এসব অঙ্গীকারকে স্বাগত জানালেও বলছে, এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি, এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য আরও আলোচনা দরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *