
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে এক কিশোর নিহত ও দুই কিশোর আহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত কিশোরের মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত সাতজনসহ মোট বারো জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন—মুহাম্মদ নোমান (২২) ও মুহাম্মদ আজাদ (২৩)। তারা দুজনই ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর তিন আসামি হলেন নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ তৈয়ব ও মহিউদ্দিন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ বলেন, “ঘটনার পরই অভিযান চালিয়ে নোমান ও আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদেরও শিগগিরই ধরা হবে।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিন কিশোর নগরে থাকা এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিল। বাড়ির কাছে পৌঁছালে পরিকল্পিতভাবে কয়েকজন তাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে ‘চোর’ বলে গুজব ছড়িয়ে তিন কিশোরকে সেতুর সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মো. রিহান মাহিন (১৫)। নিহত মাহিন স্থানীয় মুদি দোকানি মুহাম্মদ লোকমানের ছেলে।
মাহিনের দুই বন্ধু—মুহাম্মদ মানিক ও মুহাম্মদ রাহাত গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশের ধারণা, পূর্বের বিরোধের জের ধরেই চুরির নাটক সাজিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।