
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর নতুন করে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। আগে যেখানে মোট শুল্ক হার ছিল ৩৫ শতাংশ, এখন তা কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়েছে। এতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ কিছুটা সহজ হলেও, প্রতিযোগিতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোর শুল্ক হারও কমানো হয়েছে। ফলে এসব দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে। তবে চীনের শুল্ক হার এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায়, ভবিষ্যতের বাজার পরিস্থিতি অনিশ্চিত।
বাংলাদেশের রফতানি খাত, বিশেষ করে পোশাক শিল্প, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশের প্রধান পোশাক রফতানি গন্তব্য। নতুন শুল্ক নীতির ফলে এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বিশ্লেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানো, নতুন বাজারে প্রবেশ এবং বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। পাশাপাশি, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উদীয়মান অর্থনীতির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার দিকেও নজর দিতে হবে।
📌 উপসংহার: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতি বাংলাদেশের জন্য যেমন সুযোগ, তেমনি চ্যালেঞ্জও।