Crimer Sondhane

ডা. এ. আই. জোয়ারদার উনি কি ডাক্তার না কসাই?

প্রতিষ্ঠান: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড, যাত্রাবাড়ী শাখা
চিকিৎসা যেন এখন শুধুই অর্থ উপার্জনের মাধ্যম! এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে যাত্রাবাড়ীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এ. আই. জোয়ারদারের বিরুদ্ধে। রোগীর অভিজ্ঞতা বলছে—তিনি শুধু ফি নেন, চিকিৎসা দেন না!

সম্প্রতি ফয়সাল মাহমুদ নামের এক হৃদরোগী ‘আশা’ নিয়ে যান ডা. জোয়ারদারের চেম্বারে। ১,০০০ টাকা ফি নেওয়া হলেও তিনি কোনো প্রেসক্রিপশন দেননি, এমনকি কোনো পরামর্শও না দিয়ে মাত্র ২ মিনিটে রোগীকে বের করে দেন। হতভম্ব ফয়সাল বলেন, “আমি তো গিয়েছিলাম সেবা পাওয়ার আশায় উনি যেন আমাকে দেখে বিরক্ত হলেন।”

⛔ এই প্রথম নয়
স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। একাধিক রোগী এর আগেও এমন আচরণে হতাশ হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ডা. জোয়ারদার কেবলমাত্র অর্থ গ্রহণ করেন, কিন্তু তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন না। অনেকেই বলছেন, তিনি একজন “চিকিৎসক নন, কসাই” – যিনি রোগীর জন্য কোন পরোয়া করে না।

🏥 সেবার বিপরীতে জনবিচ্ছিন্নতা
যাত্রাবাড়ী এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। যেখানে কাছাকাছি দয়াগঞ্জের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিদিন শত শত রোগী দেখা যায়

সেখানে ডা. জোয়ারদার কর্তৃক রোগীদের সঙ্গে এমন কিছু ডাক্তারের আচরণের কারণে পপুলারের শাখাটি প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

📣 সাধারণ জনগণের দাবি
সাধারণ মানুষের মুখে একটাই দাবি—এই রকম মানসিকতা সম্পন্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। BMDC (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল)-এর প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে ডা. জোয়ারদারের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য।

একজন ডাক্তার, বিশেষ করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ যিনি “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়”–এর নাম ব্যবহার করে রোগী আকৃষ্ট করেন, তার কাছ থেকে এই ধরনের অনৈতিক আচরণ অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয়।

🔚 উপসংহার:
বাংলাদেশে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। তাদের সবারই জীবনের জন্য চিকিৎসকের প্রতি একটা শেষ ভরসা থাকে। যদি সেই চিকিৎসকই হয়ে ওঠেন অবহেলার প্রতীক—তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

রোগী নয়, মানুষ হিসেবে বিবেচনা করুন। ডাক্তারদের কাছে আমরা কেবল টাকা নিয়ে যাই না, ভরসাও নিয়ে যাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *