
বিশেষ প্রতিবেদন | ক্রাইমের সন্ধানে
যেখানে আজ অধিকাংশ চিকিৎসক চিকিৎসাকে একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন, সেখানে অধ্যাপক (ডা.) জি. এম. ফারুক যেন এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ। তিনি প্রমাণ করেছেন, চিকিৎসা মানে শুধু চিকিৎসা নয়—এটি ভালোবাসা, এটি দায়িত্ব, এটি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক পবিত্র ব্রত।
🏅 এক নজরে পরিচয়
🔹 অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান – অকুলোপ্লাস্টি বিভাগ
🔹 জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
🔹 ডিগ্রি:
-
এমবিবিএস
-
এমপিএইচ (স্বাস্থ্য)
-
এমএস (চক্ষু)
-
D.Ophth (DU)
-
ফেলোশিপ – অকুলোপ্লাস্টি (নিউ দিল্লি)
তাঁর চিকিৎসা কৌশল, সিদ্ধান্তগ্রহণ, ও রোগী ব্যবস্থাপনা আজ দেশের হাজারো চক্ষু বিশেষজ্ঞদের জন্য এক আদর্শ।
💠 গরিবের ডাক্তার, মমতার ছায়া
অধ্যাপক ফারুক তাঁর রোগীদের কেবল রোগী মনে করেন না—তিনি তাঁদের মানুষ মনে করেন।
রিকশাওয়ালা, দিনমজুর, বয়স্ক নারী, পথশিশু—তাঁর কাছে কেউই অবহেলার শিকার হন না। তিনি অনেক সময় নিজের টাকা ব্যয় করে তাদের ওষুধ কেনেন, অপারেশন করান, এমনকি খাবার দিয়ে বাড়ি পাঠান।
🗣️ “স্যার আমার ছেলের চোখ না বাঁচালে, হয়তো আমরা সবাই অন্ধকারে ডুবে যেতাম।”
— এক হতদরিদ্র মা
🗣️ “উনি শুধু চোখ ফেরাননি, জীবনের প্রতি বিশ্বাস ফেরত দিয়েছেন।”
— এক যুবক রোগী
🌐 তাঁর মানবিক সেবার দিগন্ত
✔️ সারা দেশে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা শিবির
✔️ পথশিশু ও অন্ধ শিশুদের জন্য উন্নত চিকিৎসা
✔️ আর্থিক অসচ্ছলদের জন্য বিনামূল্যে বা ছাড়ে সার্জারি
✔️ মেডিকেল ক্যাম্প, হেলথ অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ
✔️ চোখ সম্পর্কিত সচেতনতা সেমিনারে নেতৃত্ব
🎓 শিক্ষক হিসেবে যিনি অনুপ্রেরণা
তাঁর শিক্ষার্থীরা বলেন,
“স্যার কেবল বই পড়ান না, তিনি আমাদের জীবনের পাঠ পড়ান। তাঁর মতো বিনয়ী, নম্র অথচ জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক খুব কম দেখা যায়।”
তিনি মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক সৎ, মানবিক ও রোগীকেন্দ্রিক চিকিৎসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ছাত্রদের জন্য তিনি এক রোল মডেল।
🏥 তাঁর চেম্বারে শুধুই চিকিৎসা নয়, থাকে শান্তি
তার চেম্বারে রোগীরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেন—কিন্তু কেউ বিরক্ত হন না। কারণ তাঁরা জানেন, স্যার একজন একজন করে কথা শোনেন, সময় দেন, ভালোবাসেন। তাঁর হাসিমাখা মুখ, সহানুভূতিশীল কণ্ঠ—সব কিছু মিলেই যেন এক “চিকিৎসার আশ্রম”।
🏆 সম্মাননা ও স্বীকৃতি
-
জাতীয় স্বাস্থ্য সেবায় অবদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে বহুবার সম্মাননা
-
চক্ষু চিকিৎসায় “মানবতার ডক্টর” খেতাব
-
অসংখ্য এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষ স্বীকৃতি
🔚 উপসংহার
অধ্যাপক ডা. জি. এম. ফারুক শুধু একজন ডাক্তার নন, তিনি একজন আলোর ফেরিওয়ালা। তিনি চোখ ফেরান না শুধু — তিনি মানুষকে জীবন ফেরত দেন। তাঁর কাজের মাধ্যমে অসংখ্য পরিবার পেয়েছে নতুন স্বপ্ন, নতুন দিশা।
এমন একজন মানুষ জাতির গর্ব, চিকিৎসা পেশার রোল মডেল এবং মানবতার প্রতীক। আমরা চাই, তিনি আরও বহু বছর সুস্থ থাকুন এবং দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ুক তাঁর আলোর ঝলকানি।
🕊️ স্যারের মতো একজন চিকিৎসকের আলো যেন আজকের তরুণ চিকিৎসকদের চোখেও আলো হয়ে জ্বলে ওঠে।
আমরা চাই, এমন ডাক্তার থাকুক প্রতিটি এলাকায়, থাকুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।